Monday, February 3, 2020

সেল্ফ এপ্রিশিয়েশান ডিপেন্ড অন ইউরসেল্ফ অর আদার্স!


 Image result for self appreciation"

সেল্ফ এপ্রিসিয়েশনটা জরুরী!
আমাদের চারিদিকে অসুস্থ মানসিকতা মগজে ধারন করা নেগেটিভ চিন্তা ভাবনার মানুষে পরিপূর্ণ!
এরা তোমার সবকিছুতে না বলবে! নেগেটিভ যুক্তি দাঁড় করিয়ে দিবে!
এটা করো না, ওটা করো না! এভাবে করলে এরকম হবে, ওরকম হবে!
তোমাকে তোমার নিজের ভেতরের পজিটিভ মেসেজটা নিতে হবে!
নিজের বুদ্ধিতে মরে গেলেও একটা সুখ থাকে। বলা যায়, আমার জীবনের ভুলের জন্য আমি নিজেই দায়ী! অন্যের বুদ্ধিতে অর্জনেও সুখ নেই!
জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হলে, নিজের মস্তিষ্কের আউটপুটটাকে রিসিভ করো!
ভুল হলে ভুল, সঠিক হলে সঠিক!
পাশের বাসার ভাবীর কথার গুরুত্ব দিতে দিতে, তোমার নিজের সাথে নিজের দূরত্ব বেড়ে যাবে!
একটা সময়, তুমি সব সিদ্ধান্তেই দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে উঠবে। এটা কি ঠিক হবে? ওটা কি ঠিক হবে?
আমি প্রায়ই দেখি,
সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেকেই অন্য আরেকটা মানুষের কাছে বুদ্ধি চায়!
প্রশ্ন করে,
আচ্ছা, ওর সাথে কি আমার সম্পর্কটা রাখা উচিৎ?
আমার প্রচন্ড হাসি পায়!
যে মানুষটার সাথে এতদিন থেকেও তুমি এই প্রশ্নের উত্তর পাওনি, সে মানুষটার সাথে যে এক মিনিটও থাকেনি, তার কাছে কেন উত্তর চাইতে যাও?
তোমার জীবনের সমস্যার সমাধান অন্য আরেকটা মানুষ করে দিবে, এটাতে লজ্জা লাগেনা?
বোকা হইয়ো না।
নিজেকে গুরুত্ব দাও! নিজের সিদ্ধান্তের মূল্যায়ন করো!
জীবনে সেল্ফ এপ্রিসিয়েশন থাকাটা ভীষন জরুরী!

Thursday, January 30, 2020

প্রত্যাশা শেষ হলে শান্তি শুরু হয় || peace begins when expectation ends


Image result for expectation"



এক্সপেক্টশন ব্যপারটাই আমার অপছন্দের!
একটা মানুষ আরেকটা মানুষের অনুমতি ব্যতিত তার কাছে কিছু একটা প্রত্যাশা করার পর ঠকে গেলে, সেই সমস্যাটা আসলে কার?
আমি একটা মানুষকে ভালোবাসি! আমি প্রত্যাশা করি, সে আমার যত্ন নিবে!
তিন বেলা খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিবে! ভীষন জ্বর হলে, মাথায় জলপট্টি দিয়ে দিবে!
ঘুমানোর আগে চুলে বিলি কেটে দিবে! আমাকেই সে তার একমাত্র প্রায়োরিটি বানাবে! আমার দিকে তাকিয়েই শুধু মুগ্ধ হবে!
তারপর একদিন আমার খেয়াল হয়,
আমি আসলে কিছুই পাচ্ছি না! আমার এক্সপেক্টেশনে ফ্রাসট্রাশন চলে আসে!
আমি কষ্ট পাই! আমার ঘুম হয়না! আমার মরে যেতে ইচ্ছে হয়!
আমার নিজেরে অসহায় লাগে! কান্না পায়! নিঃসঙ্গ মনে হয়!
এই সমস্যাটা কি আমি নিজেই সৃষ্টি করিনি?
আমাদের দুখঃ, কষ্ট, যন্ত্রনা, হতাসা, অপ্রাপ্তি সবকিছুই আসলে সৃষ্টি হয় প্রত্যাশা থেকে!
এক সময় আমি খুব সহজে মানুষকে বিশ্বাস করতাম! দু দিনের বন্ধুত্ব, তিন দিনের ভালোবাসায় আমার মনে হতো,
তারা আমার জন্য জীবনও দিয়ে দিবে!
তারপর একসময় টের পেলাম,
পৃথিবীতে কেউ কারো প্রত্যাশা পূরণের জন্য জন্ম নেয়নি! কারো জন্য কেউ বাঁচে না! প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজের জন্য বাঁচে!
আমি যদি ভেবে থাকি, আমার তীব্র রকমের মন খারাপে কেউ আমার মাথায় হাত রেখে সান্ত্বনা দিবে! আমি যদি কল্পনা করি, আমার জ্বর হলে কেউ জলপট্টি দিয়ে দিবে, তাহলে এইসব প্রত্যাশা পূরন না হওয়ার দায়বদ্ধতা একান্তই আমার!
বিয়ের পর আমার স্বামী আমার দিকে মনোযোগ দেয়না! আমার স্ত্রী আমার যত্ন নেয়না!
আমার সন্তান আমার সমস্যা বুঝেনা! এতে আমি কষ্ট পাই!
আমার অভিযোগ জন্মায়! আমি অভিমান করি! আমার দাম্পত্য কলহ বাড়ে!
প্রতিবছর আমার জন্মদিনে আমি এমন একটা মানুষের উইস এর জন্য অপেক্ষা করি, যে কিনা জন্মদিনটাই মনে রাখে না!
এই শোকে আমার জন্মদিনের আনন্দটাই নষ্ট হয়ে যায়! আজকাল ওসব উইস প্রত্যাশাই করিনা, মন খারাপ ও হয়না!
প্রত্যাশার চেয়ে জঘন্য কোনকিছু পৃথিবীতে নেই!
তবুও, দিনশেষে মানুষ আসলে মানুষের প্রতি একটা এক্সপেক্টেশন রাখবেই!
এটাকে পরিবর্তন করার কোন সুযোগ নেই!
যেদিন আমরা কারো কাছেই কোন প্রত্যাশা করবো না, সেদিন ভালো থাকবো!
ঘুমাতে পারবো! বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হবে! অভিযোগ থাকবেনা! অভিমান জন্মাবে না!
জীবনটাকে বিশ্রী রকমের সুন্দর মনে হবে!
কাউকে ভালোবাসলে ঠিক আছে! পাশাপাশি তার কাছ থেকে ভালোবাসা পাওয়ার প্রত্যাশা করে ফেললেই কষ্ট বাড়ে!
ব্যথারা বড় হয়!
হৃদপিন্ডে ক্ষতের জন্ম নেয়! অনিদ্রা বাসা বাঁধে চোখে! মাঝরাতে কান্না পায়!
ভালোবাসতে হয়, স্বার্থহীন হয়ে!
ভালোবেসে কিছু প্রত্যাশা করতে নেই!
প্রত্যাশা ছাড়াই কিছু পেয়ে গেলে, সেটা বোনাস! বোনাস পেলে ভালো, না পেলেও কষ্ট হবেনা!


Tuesday, December 24, 2019

স্টাডি অ্যাব্রোট ইন চায়না , অর নট !?

                                    স্টাডি চায়না সত্য মিথ্যার বেড়াজাল 

 




জ্বী জনাব, চীনের পড়ালেখার মান ভালো না। বাংলাদেশের অলি গলিতে যেসব প্রাইভেট ভার্সিটি

  আছে,চীনের পাবলিক ভার্সিটির মানও এইটার চেয়ে খারাপ- ঠিক ধরসেন। এইটা আলাদা বিষয়

  যে এখানে একটা ডিপার্টমেন্ট বিল্ডিং দিয়া বাংলাদেশে টা প্রাইভেট ভার্সিটি খোলা যাবে। আর

  এখানে একটা ফ্যাকাল্টির গবেষণার বাজেট ঢাকা ভার্সিটির কয়েকগুণ-সেটাও না হয় হিসাবের

  বাইরেই থাক। (সব প্রাইভেট ভার্সিটির কথা বলি নাই। ত্যানা না প্যাচাইলে ভালো।)

জ্বী জনাব, চীন প্রযুক্তিগত দিক দিয়া বাংলাদেশেরও পিছনে। এই কারণেই আমাদের দেশের ভালো

  ইঞ্জিনিয়ারগুলা সুযোগ পাইলেই বাইরের দেশে যায় মাস্টার্স করতে, আর ফেরে না। কারণ ,

 জানেই যে ফিরলেই আইসা সোনালী ব্যাংকে চাকরির পরীক্ষা দিতে হইবো, টেকনোলজিক্যাল

  কোনো প্রজেক্ট নিয়া কোনো কোম্পানি তো নাইই বাংলাদেশে। আর অপরদিকে, আপনি যে

IPhone কিনসেন প্রায় লাখ টাকার কাছে খরচ কইরা, সেইটার কভার একটূ খুইলা ব্যাটারিটা তুইলা দেইখেন। :P
 


আপনি চীনে পড়তে আসবেন শুনে পাড়ার বিশিষ্ট "বিজ্ঞানমনস্ক" টং দোকানদার আক্কাস

  কাকা কইয়া দিসে "চীনে আবার কেউ পড়তে যায় নাকি? চীন তো আমার দেড়শ টাকা দামের

  মোবাইলটাও ঠিকমত বানাইতে পারে না! (সিরিয়াসলি, এই টাকার মোবাইলের কাছে আপনি

  কোয়ালিটি আশা করেন:O )" এবং এই শুনে আপনি চিন্তায় পড়ে গেছেন যে আসলেই

  আপনি পড়তে আসবেন কি না, "তার চেয়ে বরং "মফিজউদ্দিন' অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি"

ভালো মনে হইতেসে-এই যদি হয় আপনার চিন্তার লেভেল, তাইলে আপনি আইসেন না, কিন্তু

  আরেকজন চীনে পড়তে আসছে শুনে তাকে আন্ডারএস্টিমেট করেন কেন? আপনি ভালো ছাত্র , তাই?

বর্তমান যুগে কোনো জায়গারই পড়ালেখার কোনো দাম নাই। দাম আছে আপনার জ্ঞানের,

 আপনার চিন্তার ক্ষমতার, আপনার পরিশ্রমের। আর আপনার এই গুণগুলা এনকারেজ করার

  সুযোগ এবং ইচ্ছাটা এখানে আছে, সুযোগটা কাজে লাগিয়ে দেখবেন কি না সেটা তো আপনার

  ব্যাপার। আপনি এখানে এসে না পড়ে কোনোমতে পাশ করে ফিরে গিয়ে বলবেন-"ধুর ! চীনের

  ডিগ্রি কোনো ডিগ্রি হইলো নাকি?" নাকি আসলেই এখানে যে কেয়ারটা আপনি পাবেন সেটা

   কাজে লাগাবেন- সেটা একান্তই আপনি জানেন, আমি তো জানিনা।

কাজেই প্লিজ, "ভাইয়া আমি অমুক জায়গায় পড়তেসি অলরেডি, আমার কি চীনে আসা ঠিক

  হবে? ওখানে কি পড়ালেখা হয়? ওখানে থেকে পড়ে কি আমেরিকা কানাডা যাওয়া যায়?" এইসব
 
  প্রশ্ন করে আমার মাথা খাইয়েন না। নিজের কমনসেন্স ইউজ করেন।
 
আর শেষ কথা, পৃথিবীর কোন দেশের কোন ভার্সিটি মানুষের জীবন সিকিওর করার গ্যারান্টি দেয়,
আমারে ঠিকানাটা দেন একটূ। আমার ভবিষ্যত বড়ই আন্ধার। একটূ যাইয়া সিকিওর করতাম লাইফটা ...

         




(সংগৃহীত)

Saturday, July 20, 2019

সেলফ ডিপেন্ডেন্সি | Never Depends Anyone!

Focus Your GOAL!!!



সেল্ফ মটিভেশন ইজ দ্যা বেস্ট মটিভেশন! এই যে হতাসায় তুমি প্রচন্ড ভেঙে পড়ো!
অপ্রাপ্তিতে মন খারাপ করো! মানুষ  হারালে ব্যথা পাও! না পাওার দুঃখে পুড়, নিজের গুরুত্ব হারাও!এসব স্বাভাবিক!
আমাদের জীবনে কিছু কমন জিনিস থাকে! মোটামুটি সবাই কিছুনা কিছু নিয়ে এক ধরনের ডিপ্রেশনে থাকে। এটা আসলে ডিপ্রেশন না! ডিপ্রেশন শব্দটার ভেতর একটা বিলাসিতা থাকে বলে, আমরা ধরে নেই আমরা ডিপ্রেশনে আছি!
যে জীবনে হতাসা নেই, না পাওয়া নেই, মন খারাপের কারন নেই, মনের অসুখ নেই, সে জীবন স্বাদহীন! 
এসব আমাদের জীবনের একেকটা উপাদান। কোনটা ছাড়াই জীবনের পরিপূর্ন তৃপ্তিটা পাওয়া যায়না।
আমাদের সমস্যা হলো,

এসব অসুখকে সুখ বানানোর দায়িত্বটা আমরা অন্য কারো উপর ছেড়ে দেই। বেঁচে থাকার মটিভেশন খুঁজি অন্য সফল মানুষদের জীবনে!
আমরা অন্য মানুষের মতো হতে চাই। অথচ, একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের মতো কখনো হয়না। তুমি বরং নিজের মতো হও। নিজের মেন্টর নিজে হওয়ার চেষ্টা করো। বুকে অসুখ জমে গেলে, নিজেকে নিজে মটিভেশন দিতে শিখো!
সেল্ফ মটিভেশনের চেয়ে বড় কোন মটিভেশন পৃথিবীতে নেই।

"জীবনের কিছু কল্প কাহিনি যা কিনা নিজেকে সগ্রাম করতে শিখিয়েছে, শিখিয়েছে উইমেন রাইটস। করেছি কিছু অর্জন, সব সময়  পরনির্ভশীল ছিলাম কিনা তাই ভেঙে পড়তে হইছে ক্ষনে ক্ষনে।
ভাবতাম আমার সাথেই কেন এমন হয় ? কেন আমি সব সময়? কিন্ত এখন বুজতে পারি আমি  না আমাদের সমাজে অসংখ্য মানুষ আছে কিনা এ সমস্যাইয় ভুগে থাকে ।" 

কাল সকালে আমাকে আমার নিজেরই টেনে নিয়ে যেতে হবে বেঁচে থাকার যুদ্ধে।
নিজেকে নিজে বুঝালাম, এসব কোন ব্যপার না। জীবন যুদ্ধটা এমনই হয়।

সব অনায়াসে পেলে হয়তো কখনো বড় হতে পারতাম না। বুক ভর্তি একটা আবেগের স্তূপ নিয়ে বড় হওয়া যায়না।
মানুষ বড় হতে শুরু করে, অপ্রাপ্তিতে!

"একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে" এই বিশ্বাসটা তোমাকে প্রচন্ড পরিমান ঠকাবে।
একদিন কোন কিছুই ঠিক হয়না। সবকিছুকে ঠিক করে নিতে হয়।
আর সবকিছুকে ঠিক করার দায়িত্বটা নিজেকেই নিতে হয়।

এই যে তুমি একটা ভালোবাসার মানুষের কাছ প্রত্যাশা করো, সে তোমার মন খারাপ হলে বুঝে যাবে!
যত্ন করে অসুখ সারাবে! তোমার না বলা কথা বুঝার ক্ষমতা থাকবে। (সে হোক কাছের, বাবা মা, বা সম্মানী কেউ )
এসব প্রত্যাশা তোমাকে কষ্ট দিবে।
এই পৃথিবীতে কেউ কাউকে বুঝতে পারেনা। তোমার মন খারাপের অসুখটা সারানোর দায়িত্ব তোমার নিজেকেই নিতে হবে।
নিজেকে যে নিজে বুঝাতে পারেনা, তাকে বুঝানোর সাধ্য কারো নেই।মাসের পর মাস  মটিভেশনাল স্পিস শুনে, তোমার জীবন বদলায় না।বদলায় তখন, যখন তুমি নিজেই নিজেকে মটিভেশন দিতে শুরু করো।নিজ থেকে নিজের পরিবর্তনের মনোভাব না আসলে, পরিবর্তন সম্ভব না।
জীবনে তুমি যে অবস্থার মধ্য দিয়েই যাও না কেন, নিজের ভেতরের কথাটা শুনো।
ভেতর যা বলে, সেটাই সঠিক! সেটাই তোমার বেঁচে থাকার ডেফিনেশন বদলে দেবে।

নিজের জীবন বদলানোর জন্য, বেঁচে থাকার জন্য, ভালো থাকার জন্য, অন্য আরেকটা মানুষের উপর ডিপেন্ড করার মতো হাস্যকর আর কিছু নেই।
তুমি যার উপর ডিপেন্ড করে বাঁচতে চাইছো, ভালো থাকতে চাইছো, সে নিজেই হয়তো ভালো নেই আর নিজেই জানেনা তার ঠিকানা তুমি কেন পরনির্ভশীল হবে? বুদ্ধি খাটাও দেখ কিছু বেরিয়ে আসে কিনা সেও মানুষ তোমার মত করেই তার জীবনে এই পর্যন্ত আচ্ছে । সে পেরেসে তার যায়গায় জেতে তুমি  কেন পারবে না ? হেরে যাবার জন্য তুমি আসো নি এই ধরণী তে এইটা কোন ধর্ম হতে পারে না হেরে যাওয়া কোন স্টোরি হতে পারে না , কিছু করে দেখাও দেখবে লোকে তোমায়  নিয়ে স্টোরি লিখছে্‌
তাই আবারো বলি!!

পরনির্ভরশীল হইয়ো না। নিজের জীবনের মটিভেশনাল স্পিকার নিজেকেই হতে হয়।
এই ছোট্ট জীবনে তোমার যা কিছু প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি তার সম্পূর্ন ক্রেডিট তোমার হোক।
কেউ যাতে মুখের সামনে এসে বলে না দেয়, আমিই ওর জীবন বদলে দিয়েছিলাম।
এই অল্প সময়ের জীবনটা নিজের শক্তিতে কাটিয়ে দিতে না পারার মতো ব্যর্থতা আর কি হতে পারে!
নিজেকে ভালোবাসো। নিজের কথা শুনো। নিজের অসুখের চিকিৎসক নিজে হও।
তোমাকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব তোমারই। অন্য যা কিছু আছে, তারা সুসময়ে এসে অসময়ে চলে যাবে। 


                                                                                            [গল্পটি বন্ধুর জন্য লিখা তবে  লেখকের জীবনের থেকে নেয়া  ! :)]   

Thursday, July 18, 2019

ব্যাক্তিত্ত্বের বিবর্তন -সময় যে চলে যায়...

কালের পরিবর্তন  পরিবর্ধন


বয়স বাড়ছে!
তারচেয়েও দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে ব্যক্তিগত বিবর্তন!
সময় সবকিছু বদলে দেয়! যেমন করে বদলে যায় পরিচিত কন্ঠস্বর!
চায়ের টং দোকান! ভালোবাসার গান ! প্রকৃতির ঘ্রাণ! প্রিয় মুখ! প্রিয় মানুষ!
সময়ের সাথে বদলে যায় অনুভূতি! প্রেম! ভালোবাসা! সম্পর্ক!
এই তো কয়েক বছর আগেও অপেক্ষা ছিল! প্রিয় মানুষ ছিল! বুকের ভেতর হৃদপিন্ড ছিল! ভালোবাসা ছিল! বন্ধুত্ব ছিল!
এখন নেই। সবকিছু বদলে গেছে! চিন্তার পরিবর্তন এনেছে ম্যাচিউরিটি!
সময় একদিন হুট করে বদলে যায়!
মোড়ের টং দোকানের চায়ের স্বাদ পানসে লাগে! প্রেমিকার টেক্সট আসে না!
শহরে শহরে লাগানো থাকে ব্যক্তিগত হৃদপিন্ডের নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি!
ভালোবাসা আত্মহত্যা করে দায়িত্ববোধের সামনে দাঁড়িয়ে!
প্রেম প্রেম প্রকৃতি পাখির কিচিরমিচির ভুলিয়ে দিয়ে আকাশ দেখায়!
যতটুকু আকাশ দেখি, ততোটুকুই শূন্যতা!
সময় বদলে যায়! আমিও বদলাই সময়ের পথ ধরে!
আমি হাটি! হোচট খাই! আবার ঘুরে দাঁড়াই! আবার হাটি!
আমার ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই বন্ধুর সাথে সিগারেট ভাগ করে খাওয়ার বয়সে!
আমার মাথার উপর দায়িত্বের ওজন বাড়ে! আমি নুয়ে পরি!
আমার মুক্তি পেতে ইচ্ছে হয়! আমি মুক্তির সন্ধান করতে করতে বুঝে যাই, এই ইঞ্জিনের শহরে দায়িত্বের দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলবে না!
সময় বদলে যায় প্রতিদিন সকালে!
দুপুর দুটা বাজে ঘুম থেকে উঠা ছেলেটা অফিসের ব্যাগ নিয়ে লেগুনার পিছে ঝুলে থাকে সকাল আটটায়!
সময় বদলায়! তীব্র ভাবে বদলে যায় সবকিছু!
আমার মনে পরে সকালের ঘুম ঘুম চোখে আবছা লাগা ক্লাসরুম!
নতুন বইয়ের ঘ্রাণ! দু টাকার টিফিন! ময়লা ইউনিফর্মের শার্টের কলার!
আমার মনে পরে, খাবারের টাকা বিহীন একটা কুচকানো পকেট!
আমার মনে পরে, ১০ টাকার রিচার্জে ৪০ মিনিটের প্রেম!
সময় কি দ্রুত সব পাল্টে দেয়!
কারো জন্য ব্যথা লাগেনা! বুক ধরফর করেনা! কারো জন্য অপেক্ষা নেই!
অপরিনত বয়সে সাজিয়ে রাখা কল্পনার সংসার কখন ভেঙে গেছে, টের পাইনি!
একদিন হুট করে পেছনে তাকিয়ে দেখি বড় হয়ে গেছি! বড় মানে অনেক বড়!
সামনের পথে সাহারা আর পেছনে সুখ স্মৃতি! আমি পেছনে তাকিয়ে মন খারাপ করে সামনে যাই!
একবার এগিয়ে গেলে, পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই!
বয়স বেড়ে যায়!
স্মৃতির পাল্লা ভারী হয়! শূন্যতার খাতায় পুরাতন নামের উপর ধূলাবালির আস্তরন পরে থাকে!
সময় কি ভীষন ভাবে বদলে দিয়েছে সব।
সকালের বাস! সন্ধ্যার ট্রাফিক জ্যাম! একটা মন খারাপের নিউজ পেপার!
টং এর চায়ের জায়গা নিয়েছে বিকেলের কফি!
আমি বড় হয়ে গেছি কখন, বুঝে উঠতে পারিনি!
মানুষ বড় হয় কেন, ঈশ্বর?😢

Friday, February 22, 2019

বন্ধু VS ভালোবাসা

   

 প্রেমিকের ক্ষেত্রে:: তোমার কিছু হলে আমি বাচতে পারবো না।।
    বন্ধুর ক্ষেত্রে:: আমি বেচে থাকতে তোর কিছু হতে দিবো না।।



 বন্ধু শব্দের আভিধানিক অর্থ সুহৃদ, মিত্র, সখা, স্বজন, প্রিয়জন, প্রণয়ী বা কল্যাণকামী ব্যক্তি। আর বন্ধুত্ব শব্দের আভিধানিক অর্থ সৌহার্দ্য, সখ্য, মৈত্রী ও বন্ধুতা। সুহৃদ শব্দের অর্থ বাংলা একাডেমীর অভিধানে রয়েছে উত্তম হৃদয়। মিত্র অর্থ ‘সখা’ আর সখা শব্দের অর্থ ‘সহচর’। প্রণয়ী শব্দের অর্থ ‘প্রেম পাত্র’ বা ‘ভালবাসার যোগ্য পুরুষ’। এক কথায় বলা যায় প্রেমিক।

একটু চিন্তা করলে বলা যায়, বন্ধু শব্দটি দু’টি বিষয়ের খুব কাছাকাছি দিয়ে যায়। একটি বন্ধুত্ব আর অন্যটি প্রেম। বন্ধুত্ব বলতে গিয়ে বলা যায়, দু’টি ভিন্ন মানুষের মাঝে ভিন্ন একটি হৃদয়। যদিও এটি একটি হালকা শব্দ মনে হয়। এর পরও এর ভাবার্থ অসাধারণ ও পবিত্র। দু’টি মানুষের মাঝে এক পবিত্রতম সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে বন্ধুত্ব। আর এটিকে মানুষের জীবন থেকে আলাদা করে ভাবার কোন সুযোগ নেই। বন্ধুত্ব প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের একান্ত অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত।

সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে কিছু মানুষের সার্বিক সহযোগীতার প্রয়োজন হয়। যারা মানুষের অনেক বড় বড় স্বার্থের উর্ধ্বে থাকে। একজন অন্যজনকে বেঁচে থাকতে সহায়তা করে। সমাজ বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বন্ধু ছাড়া জীবন অসম্পূর্ণ। কোন মানুষ একাকী চলাফেরা করতে পারে না। যদিও বন্ধু নিয়ে অনেকের অভিজ্ঞতা সুখকর হয় না। যার কাছ থেকে প্রতারণা পাওয়া যায় সেতো বন্ধুই না।

➤বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহিত কামাল তার ’না’ বইয়ে লিখেছেন, বন্ধুতের নানা সঙ্কটের কথা। একজন মানুষ কিভাবে তিল তিল করে ভাল বন্ধু হয়ে ওঠে আবার তার কাছ থেকে সবচেয়ে বড় আঘাত পেয়ে থাকে। লেখক তার বইয়ে বন্ধুর নানা ব্যাখ্যা যেমনি করেছেন বলেছেন বন্ধুত্ব করার নানা দিক নিয়ে। তবে মোহিত কামালের লেখা দিয়ে সমাজের বাস্তব চিত্র বোঝা গেলেও সব বন্ধুর দ্বারা মানুষ প্রতারিত হয় না। আর যার দ্বারা প্রতারিত হয়, আবারও বলছি সে তো আসলেই বন্ধু না।

যদিও ডা. মোহিত কামাল দেখিয়েছেন বন্ধুত্বের মাঝে লুকিয়ে থাকা অপরাধচিত্র। একজন ঘৃন্য অপরাধি কিভাবে বন্ধু সেজে ছোবল বসাতে পারে। লেখক বিশ্লেষন করে বুঝিয়েছেন পুরো বিষয়টি। চারপাশে জালের মত ছড়ানো প্রতারণা থেকে মুক্তির কথাও বলেছেন তিনি।

➤অনেক আগে ইমদাদুল হক মিলনের লেখা একটি বই পড়েছিলাম ’বন্ধুবান্ধব’ নামে। সেখানে লেখক তার বন্ধুদের কথা যেভাবে লিখেছেন সেটা পড়ে ডা. মোহিত কামালের বই পড়ে যে হতাশায় পড়ে ছিলাম তা কেটে গেছে। অন্যদিকে বন্ধুদের সহযোগিতা মানুষকে কোথায় পৌঁছে দিতে পারে তাও বলেছেন ইমদাদুল হক মিলন।

তিনি বন্ধুবান্ধব বইটির ভূমিকায় লিখেছেন, 'জীবনের যে ক্ষেত্রে আটকে গেছি, সেখান থেকে আমার বন্ধুরা আমাকে হাত ধরে আমাকে পার করে এনেছে'। লিখেছেন, শৈশব, কৈশর, শিক্ষা ও কর্ম জীবনে বন্ধুর নানা গল্প। ২০৮ পৃষ্ঠার বইটিতে লিখেছেন বন্ধুর সাথে বন্ধুর আর সুখকর পথে চলার নানা স্মৃতি। এমন নানা গল্প আমাদের প্রত্যেকের জীবনে গাঁথা আছে। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে বন্ধু ছাড়া চলছে।

➤➤বন্ধু বলতে শুধু ভালবাসার মানুষের বন্ধু বোঝায় না। আগেই বাংলা একাডেমীর দেয়া অর্থ বলেছি। এটা অনেকটা বন্ধু আর প্রেমিক প্রেমিকার সাথে সাংঘর্ষিক। শব্দের অর্থের দিক থেকে। এর ব্যাখ্যা যদিও অনেক বড়। এ বিষয়ে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর একটি লেখায় বলেছেন, 'বন্ধুত্ব ও ভালোবাসায় অনেক তফাৎ আছে, কিন্তু ঝট্ করিয়া সে তফাৎ ধরা যায় না। বন্ধুত্ব আটপৌরে, ভালোবাসা পোশাকী। বন্ধুত্বের আটপৌরে কাপড়ের দুই-এক জায়গায় ছেঁড়া থাকিলেও চলে, ঈষৎ ময়লা হইলেও হানি নাই, হাঁটুর নীচে না পৌঁছিলেও পরিতে বারণ নাই। গায়ে দিয়া আরাম পাইলেই হইল। কিন্তু ভালোবাসার পোশাক একটু ছেঁড়া থাকিবে না, ময়লা হইবে না, পরিপাটি হইবে। বন্ধুত্ব নাড়াচাড়া টানাছেঁড়া তোলাপাড়া সয়, কিন্তু ভালোবাসা তাহা সয় না।'


শুধু মেয়ে বন্ধুর জন্যেই মানুষের মন কাঁদে তা কিন্তু না। ছেলে বন্ধুর জন্যেও মন কাঁদতে পারে যদি তেমন বন্ধু হওয়া যায়। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কোলকাতা পৌঁছে কুমিল্লায় থাকা তার প্রিয় বন্ধু কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে যে চিঠি লিখেছেন তা দিয়ে বন্ধুত্বের অমর দৃষ্টান্ত স্থাপন করা সম্ভব। কবি তার বন্ধুকে সম্বোধন করে লিখেছেন, 'বন্ধু, তুমি আমার চোখের জলের মতিহার, বাদল রাতের বুকের বন্ধু। যেদিন এই নিষ্ঠুর পৃথিবীর আর সবাই আমায় ভুলে যাবে, সেদিন অন্ততঃ তোমার বুক বেঁধে উঠবে। তোমার ঐ ছোট্ট ঘরটিতে শুয়ে, যে ঘরে তুমি আমায় প্রিয়ার মত জড়িয়ে শুয়েছিল, অন্ততঃ এইটুকু স্বান্তনা নিয়ে যেতে পারবো, এই কি কম সৌভাগ্য আমার!!!' বন্ধুর প্রতি এমন অভিব্যক্তি পাওয়া গেলে আর কি চায় তার কাছে। প্রতিটি মানুষের জীবনে অনেক মুহূর্ত আসে যখন সে নিজেকে একা ভাবতে শুরু করে। সেই নি:ষঙ্গ সময়ে তার পাশে এসে দাঁড়ায় একজন ভাল বন্ধু। সে, মানুষটিকে সামনে অগ্রসর হতে, বেঁচে থাকতে আর আরও সুন্দরভাবে পথ চলতে সহায়তা করে।

বন্ধুর জন্য বন্ধুর দিন প্রতিদিন। দিনে-রাতে যখন প্রয়োজন তখন বন্ধুর সাথে দেখা ঘোরা আর চলতে পারা যায়। বন্ধুর সাথে চলতে চলতে চলতে কত মানুষ পথ হারিয়েছে। গন্তব্যহীন পথ চলেছে অনেকে। আবার এই বন্ধুই পথ দেখায় সামনে এগিয়ে যেতে। তাই বলা যায় জীবনে বন্ধুর অবদান অন্য কারো মত নয়। বন্ধুর বিকল্প বন্ধুই।


অনেকে বলে থাকেন বন্ধুত্ব ক্রমশ পরিবর্তিত হয়ে ভালোবাসায় উপনীত হতে পারে, কিন্তু ভালোবাসা নেমে অবশেষে বন্ধুত্বে এসে ঠেকতে পারে না। ক্রমে তার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপিত হতে আটক নেই। অর্থাৎ বন্ধুত্বের উঠবার নামবার স্থান আছে। কারণ, সে সমস্ত স্থান আটক করা থাকে না। কিন্তু ভালোবাসার উন্নতি অবনতির স্থান নেই। আর প্রেম যখন, সে থাকে তখন সে সমস্ত স্থান জুড়ে থাকে, নয় সে না থাকলে নাই। যখন সে দেখে তার অধিকার হ্রাস হয়ে আসছে তখন সে বন্ধুত্বের ক্ষুদ্র স্থানটুকু অধিকার করে থাকতে চায় না। যে রাজা ছিল সে ফকির হতে রাজি আছে, কিন্তু করদ জায়গীরদার হয়ে থাকবে কিরূপে? হয় রাজত্ব নয় ফকিরী, ইহার মধ্যে তার দাঁড়াবার স্থান নাই।

অনেকে বন্ধুত্ব আর ভালবাসাকে এক দৃষ্টিতে দেখে। মানে দুইটাকে একমনে করে। কেউ বন্ধুত্ব এক সময় ভিন্ন লিঙ্গ হলে প্রেম পর্যায়ে নিয়ে যায়। অর্থাৎ তারা এক সময় একেঅপরের প্রতি দূর্বল হয়ে যায় এবং বন্ধুত্বের সর্ম্পকে প্রেম পর্যায়ে নিয়ে যায়। এটা ঠিক নয়। এতে বন্ধুত্বকে অপমান করা হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ককে যদিও আপনি ভালবাসার সম্পর্কে পরিনত করেন তাহলে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হবে। সর্ম্পকটা বেশীদিন টিকে থাকবে না। তাই পরিশেষে বলতে চাই বন্ধুর সম্মান বন্ধুত্ব দিয়ে আর ভালবাসার সম্মান ভালবাসা দিয়ে রক্ষা করতে হবে। বন্ধুত্ব এবং ভালবাসাকে কখনো এক দৃষ্টিতে দেখবেন না।

বন্ধুত্ব ও ভালবাসা তে অনেক তফাৎ আছে, কিন্তু ঝট্‌ করিয়া সে তফাৎ ধরা যায় না।

প্রেম সে হৃদয়ের ক্যানভাস এর প্রতিবিম্ব আর তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা যায় বন্ধুত্তে নয়, প্রেম কে ঘিরে ভালোবাশার নতুন অধ্যায় শূরু হয় সেই জীবিনের একটা পরিণতি পায় কিন্তু  বন্ধুত্তে তা হয় না সারাজীবন একি চলমান স্কেলে  ।
ভালোবাসার মানুষ থাকে আলাদা অনুভুতি আলাদা আবেগ ।কখনো কখনও  বন্ধুত্তের দোহাইয়ে ভালবাসাএ অকাল মৃত্যু ঘটে ।
সত্তিকারের প্রেম কে নিয়ে সরা জীবন এক সাথে থকার কমিট্মেন্ট সুখ দুঃখ গুলোন ভাগাভাগি করে নেয়া একে অন্যকে বুঝা আর অটুট থাকা ঝড়েও বদলাব না তবে বন্ধুত্তে নিরভেজার সৌহার্দ আর কিছু না।
একটি ছেলে আর  মেয়ের মধ্যে যখন ভালোবাসার আবির্ভাব ঘটে তখন বন্ধুত্তের প্রাইওরিটি তফাৎ ঘোটে
অর্থাৎ দুই জনে সহযোগী হইয়া জগতের কাজ সম্পন্ন করা। আর, প্রেম বলিলে দুই জন ব্যক্তি মাত্র বুঝায়, আর জগৎ সসীম । দুই জনেই দুই জনের জগৎ। অতএব বন্ধুত্ব অর্থে দুই এবং তিন, প্রেম অর্থে এক এবং দুই।(রবী ঠাকুর)  

তাই বলতে  হয়তো বলতে হয় 
                                                ""বন্ধু বাচুক বন্ধুত্বে প্রেমিক বাচুক প্রেমে
                                    আলাদা গল্পঃ আলাদা থাকুক আলাদা আলাদা ফ্রেমে""

Sunday, September 30, 2018

জীবন সংগ্রামের মুখমুখি

                জীবনের খারাপ সময়ের পারাপার  | ট্রাজেডি-꘡



পৃথিবীতে অনেক ঘটনা হয়তো কারণ ছাড়া ঘটতে পারে বা হয়। কিন্তু মন খারাপ কখনোই কারণ ছাড়া এমনিতে ঘটে না, আমরা হয়তো সবাই এমনটা বলি বা এমনটা ভাবি—মনটা এমনিতে মন সময়  অনেক দিন ধরে খারাপ যাচ্ছে ।😔


মানুষের মন হঠাৎ করে এমনিতে খারাপ বা মনের আকাশে কালো মেঘ জমে না, হয়তো আমরা কিছু সময় সচেতন মনে বুঝতে পারি না, অবচেতন মন সেটি বুঝতে পারে। মনটা যদি এমনি খারাপ হতো তাহলে আমরা চাইলেই যেকোনো সময় ইচ্ছে করে মন খারাপ করতে পারতাম।

পৃথিবীতে অনেক কারণে মন খারাপ হয়ে থাকে, তার মধ্যে প্রধান কিছু কারণে মূলত মন খারাপ হয়ে থাকে, যা বাকি কারণগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে।  নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো।


*👉👉অনেক কষ্ট না পাওয়া, যন্ত্রণাগুলোকে আমরা অনেকেই আছি খুব লুকাতে চেষ্টা করি, এমন  করতে করতে আমাদের মন খারাপ হবে। 

*👉👉 হয়তো খুব কাছের প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া কোনো কষ্ট, কিংবা কাছের কোনো প্রিয়জন প্রয়াত হলে তার কোনো স্মৃতি মনে পড়ে গেলে।

* 👉👉কোনো মানুষ যখন খুব কষ্টে থাকে তখন অতীতের কোনো সুখের নস্টালজিক স্মৃতিকে রোমন্থন করতে গিয়ে মন খারাপ হয়।

*👉👉আবার নতুন করে কিছু পাওয়ার জন্য যখন অপেক্ষায় থাকা হয় হতে পারে সেটা জিবনের বিশাল একটা পার্ট, নতুবা ভালো রেজাল্ট বা ক্যারিয়ার। সেই আশা যখন গুড়েবালি হয়ে যায় আকাশে মেঘ ভেঙ্গে পরে তখন। 

*👉👉সত্যি বলতে কি ?! আশা ভরশা এমন একটা জিনিস একবার ভাঙলে জোড়া লাগানো  অনেক কঠিন। সুন্দর স্বপ্ন ভরসা সব কিছু কেমন ঝাপসা হয়ে যায়। 

⧭👍যদিও জীবন থেমে থাকেনা চলতে থাকে তার নিজস্ব গতিতে  কেও তাকে ধরে রাখতে পারে না তবুও জীবনের টারনিংপয়েন্ট যেকোনো ধাক্কা টা আসলে মেনে নেয়ার মত না ।



* সম্প্রতি কোনো ঘটনার ফলাফলে আমরা ব্যর্থ, কিংবা কারো কাছ থেকে খুব আঘাত পেয়েছি মনে, আবার হয়তো এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা আমরা কাউকে না পারি বলতে, না পারি কাউকে বিশ্বাস করে মনের কথাগুলোকে ভাগ করে নিতে কথা বলার মাধ্যমে। এমন অবস্থা হলে মানুষের মন খারাপ হয়। এই মন খারাপটা আমরা বুঝতে পারি না। সচেতন মন এটা কম বুঝতে দেয়। ৬০%-এর বেশি মন খারাপ এই কারণে হয়ে থাকে।


* ভালোবাসার সম্পর্ক, ক্যারিয়ার, সফল না হওয়া, হতাশা, সমাজে অবস্থান, অর্থকষ্ট, পরিবারে অবস্থান ও সমর্থন, বেকারত্ব, সংসারে অশান্তি, ঝগড়া, যৌন জীবনে কষ্ট, সুখ না পাওয়া। মানসিক চাপ এবং পারিবারিক ভালোবাসার অভাব, অতীতের কোনো লঘু বা গুরুতর পাপ ও অপরাধ করলে, কোনো একটা বিশেষ ট্র্যাজেডির কারণে জীবন থমকে গেলে—এসব কারণে একটা মানুষের সাধারণত মন খারাপ হয়ে থাকে ,খারাপ সময় যেয়ে থাকে , যা পাড় করা প্রতেক মানুশের কাছে খুব কষ্টের ।
সবার জীবনে কিছু না কিছু ট্রাজেডি থাকে ঠিক তেমনি লেখকের ও ব্যতিক্রম না ।



        সূচীভেদ্য অন্ধকারেও চলে জীবনের নিরন্তর সংগ্রাম। 
         বেদনার নীল রং একসময় হয়তো পাংশু বর্ণ ধারণ করে, 
   তবুও কষ্টের তীব্রতা রয়ে যায় পূর্ববৎ
     


                                                      যন্ত্রণার প্রতিটি ক্ষণ যেন এক একটি মহাকাল,
                                                     তবুও বেদনার সময়টুকু পেরিয়ে এসে-
                                                   ওরা ঊষার আলোয় অবগাহন করে যায়।
                                                            নতুন ভোরে নতুনভাবে বাচাঁর অবলম্বন খোঁজে
                                                  কষ্টের তীব্রতাকে উপেক্ষা করে পূর্ববৎ।


  সর্ব শেষে একটি কথা বলে শেষ করতে চাইঃ

"জিবনে খারাপ সময়  আশে ,
তখন অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায়"