Saturday, July 20, 2019

সেলফ ডিপেন্ডেন্সি | Never Depends Anyone!

Focus Your GOAL!!!



সেল্ফ মটিভেশন ইজ দ্যা বেস্ট মটিভেশন! এই যে হতাসায় তুমি প্রচন্ড ভেঙে পড়ো!
অপ্রাপ্তিতে মন খারাপ করো! মানুষ  হারালে ব্যথা পাও! না পাওার দুঃখে পুড়, নিজের গুরুত্ব হারাও!এসব স্বাভাবিক!
আমাদের জীবনে কিছু কমন জিনিস থাকে! মোটামুটি সবাই কিছুনা কিছু নিয়ে এক ধরনের ডিপ্রেশনে থাকে। এটা আসলে ডিপ্রেশন না! ডিপ্রেশন শব্দটার ভেতর একটা বিলাসিতা থাকে বলে, আমরা ধরে নেই আমরা ডিপ্রেশনে আছি!
যে জীবনে হতাসা নেই, না পাওয়া নেই, মন খারাপের কারন নেই, মনের অসুখ নেই, সে জীবন স্বাদহীন! 
এসব আমাদের জীবনের একেকটা উপাদান। কোনটা ছাড়াই জীবনের পরিপূর্ন তৃপ্তিটা পাওয়া যায়না।
আমাদের সমস্যা হলো,

এসব অসুখকে সুখ বানানোর দায়িত্বটা আমরা অন্য কারো উপর ছেড়ে দেই। বেঁচে থাকার মটিভেশন খুঁজি অন্য সফল মানুষদের জীবনে!
আমরা অন্য মানুষের মতো হতে চাই। অথচ, একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের মতো কখনো হয়না। তুমি বরং নিজের মতো হও। নিজের মেন্টর নিজে হওয়ার চেষ্টা করো। বুকে অসুখ জমে গেলে, নিজেকে নিজে মটিভেশন দিতে শিখো!
সেল্ফ মটিভেশনের চেয়ে বড় কোন মটিভেশন পৃথিবীতে নেই।

"জীবনের কিছু কল্প কাহিনি যা কিনা নিজেকে সগ্রাম করতে শিখিয়েছে, শিখিয়েছে উইমেন রাইটস। করেছি কিছু অর্জন, সব সময়  পরনির্ভশীল ছিলাম কিনা তাই ভেঙে পড়তে হইছে ক্ষনে ক্ষনে।
ভাবতাম আমার সাথেই কেন এমন হয় ? কেন আমি সব সময়? কিন্ত এখন বুজতে পারি আমি  না আমাদের সমাজে অসংখ্য মানুষ আছে কিনা এ সমস্যাইয় ভুগে থাকে ।" 

কাল সকালে আমাকে আমার নিজেরই টেনে নিয়ে যেতে হবে বেঁচে থাকার যুদ্ধে।
নিজেকে নিজে বুঝালাম, এসব কোন ব্যপার না। জীবন যুদ্ধটা এমনই হয়।

সব অনায়াসে পেলে হয়তো কখনো বড় হতে পারতাম না। বুক ভর্তি একটা আবেগের স্তূপ নিয়ে বড় হওয়া যায়না।
মানুষ বড় হতে শুরু করে, অপ্রাপ্তিতে!

"একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে" এই বিশ্বাসটা তোমাকে প্রচন্ড পরিমান ঠকাবে।
একদিন কোন কিছুই ঠিক হয়না। সবকিছুকে ঠিক করে নিতে হয়।
আর সবকিছুকে ঠিক করার দায়িত্বটা নিজেকেই নিতে হয়।

এই যে তুমি একটা ভালোবাসার মানুষের কাছ প্রত্যাশা করো, সে তোমার মন খারাপ হলে বুঝে যাবে!
যত্ন করে অসুখ সারাবে! তোমার না বলা কথা বুঝার ক্ষমতা থাকবে। (সে হোক কাছের, বাবা মা, বা সম্মানী কেউ )
এসব প্রত্যাশা তোমাকে কষ্ট দিবে।
এই পৃথিবীতে কেউ কাউকে বুঝতে পারেনা। তোমার মন খারাপের অসুখটা সারানোর দায়িত্ব তোমার নিজেকেই নিতে হবে।
নিজেকে যে নিজে বুঝাতে পারেনা, তাকে বুঝানোর সাধ্য কারো নেই।মাসের পর মাস  মটিভেশনাল স্পিস শুনে, তোমার জীবন বদলায় না।বদলায় তখন, যখন তুমি নিজেই নিজেকে মটিভেশন দিতে শুরু করো।নিজ থেকে নিজের পরিবর্তনের মনোভাব না আসলে, পরিবর্তন সম্ভব না।
জীবনে তুমি যে অবস্থার মধ্য দিয়েই যাও না কেন, নিজের ভেতরের কথাটা শুনো।
ভেতর যা বলে, সেটাই সঠিক! সেটাই তোমার বেঁচে থাকার ডেফিনেশন বদলে দেবে।

নিজের জীবন বদলানোর জন্য, বেঁচে থাকার জন্য, ভালো থাকার জন্য, অন্য আরেকটা মানুষের উপর ডিপেন্ড করার মতো হাস্যকর আর কিছু নেই।
তুমি যার উপর ডিপেন্ড করে বাঁচতে চাইছো, ভালো থাকতে চাইছো, সে নিজেই হয়তো ভালো নেই আর নিজেই জানেনা তার ঠিকানা তুমি কেন পরনির্ভশীল হবে? বুদ্ধি খাটাও দেখ কিছু বেরিয়ে আসে কিনা সেও মানুষ তোমার মত করেই তার জীবনে এই পর্যন্ত আচ্ছে । সে পেরেসে তার যায়গায় জেতে তুমি  কেন পারবে না ? হেরে যাবার জন্য তুমি আসো নি এই ধরণী তে এইটা কোন ধর্ম হতে পারে না হেরে যাওয়া কোন স্টোরি হতে পারে না , কিছু করে দেখাও দেখবে লোকে তোমায়  নিয়ে স্টোরি লিখছে্‌
তাই আবারো বলি!!

পরনির্ভরশীল হইয়ো না। নিজের জীবনের মটিভেশনাল স্পিকার নিজেকেই হতে হয়।
এই ছোট্ট জীবনে তোমার যা কিছু প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি তার সম্পূর্ন ক্রেডিট তোমার হোক।
কেউ যাতে মুখের সামনে এসে বলে না দেয়, আমিই ওর জীবন বদলে দিয়েছিলাম।
এই অল্প সময়ের জীবনটা নিজের শক্তিতে কাটিয়ে দিতে না পারার মতো ব্যর্থতা আর কি হতে পারে!
নিজেকে ভালোবাসো। নিজের কথা শুনো। নিজের অসুখের চিকিৎসক নিজে হও।
তোমাকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব তোমারই। অন্য যা কিছু আছে, তারা সুসময়ে এসে অসময়ে চলে যাবে। 


                                                                                            [গল্পটি বন্ধুর জন্য লিখা তবে  লেখকের জীবনের থেকে নেয়া  ! :)]   

0 comments:

Post a Comment