Monday, February 3, 2020

সেল্ফ এপ্রিশিয়েশান ডিপেন্ড অন ইউরসেল্ফ অর আদার্স!


 Image result for self appreciation"

সেল্ফ এপ্রিসিয়েশনটা জরুরী!
আমাদের চারিদিকে অসুস্থ মানসিকতা মগজে ধারন করা নেগেটিভ চিন্তা ভাবনার মানুষে পরিপূর্ণ!
এরা তোমার সবকিছুতে না বলবে! নেগেটিভ যুক্তি দাঁড় করিয়ে দিবে!
এটা করো না, ওটা করো না! এভাবে করলে এরকম হবে, ওরকম হবে!
তোমাকে তোমার নিজের ভেতরের পজিটিভ মেসেজটা নিতে হবে!
নিজের বুদ্ধিতে মরে গেলেও একটা সুখ থাকে। বলা যায়, আমার জীবনের ভুলের জন্য আমি নিজেই দায়ী! অন্যের বুদ্ধিতে অর্জনেও সুখ নেই!
জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হলে, নিজের মস্তিষ্কের আউটপুটটাকে রিসিভ করো!
ভুল হলে ভুল, সঠিক হলে সঠিক!
পাশের বাসার ভাবীর কথার গুরুত্ব দিতে দিতে, তোমার নিজের সাথে নিজের দূরত্ব বেড়ে যাবে!
একটা সময়, তুমি সব সিদ্ধান্তেই দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে উঠবে। এটা কি ঠিক হবে? ওটা কি ঠিক হবে?
আমি প্রায়ই দেখি,
সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেকেই অন্য আরেকটা মানুষের কাছে বুদ্ধি চায়!
প্রশ্ন করে,
আচ্ছা, ওর সাথে কি আমার সম্পর্কটা রাখা উচিৎ?
আমার প্রচন্ড হাসি পায়!
যে মানুষটার সাথে এতদিন থেকেও তুমি এই প্রশ্নের উত্তর পাওনি, সে মানুষটার সাথে যে এক মিনিটও থাকেনি, তার কাছে কেন উত্তর চাইতে যাও?
তোমার জীবনের সমস্যার সমাধান অন্য আরেকটা মানুষ করে দিবে, এটাতে লজ্জা লাগেনা?
বোকা হইয়ো না।
নিজেকে গুরুত্ব দাও! নিজের সিদ্ধান্তের মূল্যায়ন করো!
জীবনে সেল্ফ এপ্রিসিয়েশন থাকাটা ভীষন জরুরী!

Thursday, January 30, 2020

প্রত্যাশা শেষ হলে শান্তি শুরু হয় || peace begins when expectation ends


Image result for expectation"



এক্সপেক্টশন ব্যপারটাই আমার অপছন্দের!
একটা মানুষ আরেকটা মানুষের অনুমতি ব্যতিত তার কাছে কিছু একটা প্রত্যাশা করার পর ঠকে গেলে, সেই সমস্যাটা আসলে কার?
আমি একটা মানুষকে ভালোবাসি! আমি প্রত্যাশা করি, সে আমার যত্ন নিবে!
তিন বেলা খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিবে! ভীষন জ্বর হলে, মাথায় জলপট্টি দিয়ে দিবে!
ঘুমানোর আগে চুলে বিলি কেটে দিবে! আমাকেই সে তার একমাত্র প্রায়োরিটি বানাবে! আমার দিকে তাকিয়েই শুধু মুগ্ধ হবে!
তারপর একদিন আমার খেয়াল হয়,
আমি আসলে কিছুই পাচ্ছি না! আমার এক্সপেক্টেশনে ফ্রাসট্রাশন চলে আসে!
আমি কষ্ট পাই! আমার ঘুম হয়না! আমার মরে যেতে ইচ্ছে হয়!
আমার নিজেরে অসহায় লাগে! কান্না পায়! নিঃসঙ্গ মনে হয়!
এই সমস্যাটা কি আমি নিজেই সৃষ্টি করিনি?
আমাদের দুখঃ, কষ্ট, যন্ত্রনা, হতাসা, অপ্রাপ্তি সবকিছুই আসলে সৃষ্টি হয় প্রত্যাশা থেকে!
এক সময় আমি খুব সহজে মানুষকে বিশ্বাস করতাম! দু দিনের বন্ধুত্ব, তিন দিনের ভালোবাসায় আমার মনে হতো,
তারা আমার জন্য জীবনও দিয়ে দিবে!
তারপর একসময় টের পেলাম,
পৃথিবীতে কেউ কারো প্রত্যাশা পূরণের জন্য জন্ম নেয়নি! কারো জন্য কেউ বাঁচে না! প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজের জন্য বাঁচে!
আমি যদি ভেবে থাকি, আমার তীব্র রকমের মন খারাপে কেউ আমার মাথায় হাত রেখে সান্ত্বনা দিবে! আমি যদি কল্পনা করি, আমার জ্বর হলে কেউ জলপট্টি দিয়ে দিবে, তাহলে এইসব প্রত্যাশা পূরন না হওয়ার দায়বদ্ধতা একান্তই আমার!
বিয়ের পর আমার স্বামী আমার দিকে মনোযোগ দেয়না! আমার স্ত্রী আমার যত্ন নেয়না!
আমার সন্তান আমার সমস্যা বুঝেনা! এতে আমি কষ্ট পাই!
আমার অভিযোগ জন্মায়! আমি অভিমান করি! আমার দাম্পত্য কলহ বাড়ে!
প্রতিবছর আমার জন্মদিনে আমি এমন একটা মানুষের উইস এর জন্য অপেক্ষা করি, যে কিনা জন্মদিনটাই মনে রাখে না!
এই শোকে আমার জন্মদিনের আনন্দটাই নষ্ট হয়ে যায়! আজকাল ওসব উইস প্রত্যাশাই করিনা, মন খারাপ ও হয়না!
প্রত্যাশার চেয়ে জঘন্য কোনকিছু পৃথিবীতে নেই!
তবুও, দিনশেষে মানুষ আসলে মানুষের প্রতি একটা এক্সপেক্টেশন রাখবেই!
এটাকে পরিবর্তন করার কোন সুযোগ নেই!
যেদিন আমরা কারো কাছেই কোন প্রত্যাশা করবো না, সেদিন ভালো থাকবো!
ঘুমাতে পারবো! বেঁচে থাকতে ইচ্ছে হবে! অভিযোগ থাকবেনা! অভিমান জন্মাবে না!
জীবনটাকে বিশ্রী রকমের সুন্দর মনে হবে!
কাউকে ভালোবাসলে ঠিক আছে! পাশাপাশি তার কাছ থেকে ভালোবাসা পাওয়ার প্রত্যাশা করে ফেললেই কষ্ট বাড়ে!
ব্যথারা বড় হয়!
হৃদপিন্ডে ক্ষতের জন্ম নেয়! অনিদ্রা বাসা বাঁধে চোখে! মাঝরাতে কান্না পায়!
ভালোবাসতে হয়, স্বার্থহীন হয়ে!
ভালোবেসে কিছু প্রত্যাশা করতে নেই!
প্রত্যাশা ছাড়াই কিছু পেয়ে গেলে, সেটা বোনাস! বোনাস পেলে ভালো, না পেলেও কষ্ট হবেনা!